ভালোবাসার গল্প - ভালোবাসা ভালোলাগার গল্প ও কবিতা

Latest

ভালবাসার মধ্যে কি আছে ? দুঃখ নাকি সুখ ? যদি সুখ থাকে তাহলে মানুষ ভালোবেসে কাদে কেন ? আর যদি দুঃখ থাকে তাহলে মানুষ ভালোবাসে কেন ?

Blogger

S_SHOHAG

Saturday, April 15, 2017

ভালোবাসার গল্প

-------------------
.
→"হ্যালো কে বলছেন?"
--"আমি আবির"
--"হ্যা বুঝলাম কিন্তু কেন ফোন করেছেন ?"
--"আসলে সেদিন আপনাকে রেনউইক এর বাধ এর উপরে দেখেছিলাম, আপনার ফ্রেন্ডদের সাথে কথা বলছিলেন।"
--"তো!"
--"মানে তখন আপনার হাসিটা দেখে আমি একটু অবাক হয়েছি।"
--"কি!! হাসি দেখে অবাক হওয়ার কি আছে? "
--"মানে মানুস এতো সুন্দর করে গুছিয়ে হাসতে পারে তা আমার জানা ছিলনা।"
--"ওহ! (একটু হেসে) তাই নাকি!!"
--"জি!"
--"তা আপনি আমার নাম্বার পেয়েছেন কিভাবে?".
--"কঠিন কাজটা করতে পেরেছি আর এই সহজ কাজটা পারবো না!!"
--"মানে!! কি কঠিন কাজ?"
--"মানে কঠিন কাজটা হলো সেদিন আপনার অদ্ভুত সুন্দর হাসি দেখে স্থির দাঁড়িয়ে ছিলাম এটা।"
--"(হেসে) আপনি তো ভালই পাম দিতে পারেন।"
--"ছি ছি!! এটা পাম মনে হলে!! আমার যাইগাই আপনি থাকলে হাসি দেখে পড়েই যেতেন!! আচ্ছা আমি কিন্তু আপনার নামটাই জানিনা!! আপনার নামটা কি বলা যাবে?"
--"আমার নাম মুন"
--"ওয়াও!! "
--"ওয়াও কেন!"
--"মানে আপনার নামের সাথে আপনার অনেক মিল আছে তো তাই "
"
এভাবে মুন আর আবিরের পরিচয় হয় এবং এথেকেই বন্ধুক্ত। মুনের বাবা অনেক ধনসম্পদের মালিক, বলা যায় এক রকমের টাকার কুমীর। কিন্তু আবিরের পরিবার অনেক গরিব। আর তাই আবির সম্পককে বন্ধুক্তের ভিতরেই সীমাবদ্ধ রেখেছিল। তবে মুন চাইতো তাদের বন্ধুক্ত ভালবাসায় রুপান্তরিত হোক কিন্তু আবির তাহতে দেয়নি। মুন দুইবার আবিরকে ভালবাসার কথা জানিয়েছে কিন্তু আবির মুনকে সুন্দর করে বুঝিয়েছে যে তাদের দুজনের ভিতরে অনেক ফারাক, তাছাড়া সে বামন হয়ে চাঁদে হাত দিতে পারবে না। আবিরও কিন্তু মুনকে অনেক ভালবাসতো কিন্তু পরিস্থিতি তার প্রতিকূলে ছিল তাই প্রকাশ করতে পারছিলো না। কিন্তু তারা হয়তো প্রেম করতো না তবে প্রেমিক -প্রেমিকারা যা করতো তার সকল কিছুই করতো। যেমন একসাথে রিক্সাই ঘোরা,একসাথে দই-ফুচকা খাওয়া,সারারাত ফোনে কথা বলা ইত্যাদি। তবে এসব কিছুই বন্ধুক্তের খাতিরে করতো। 
"
এভাবে ভালই চলছিল কিন্তু হঠাৎ একদিন রাতে কথা বলার সময় মুনের বাবা দেখে ফেলে। ফলে মুনের ফোন ধরা এবং বাইরে বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। 
"
এদিকে মুনের বাবা আবিরকে ডেকে খুব বাজে ভাবে অপমান করে।এই অপমানের ঘটনা জানার পর মুন ব্লেড দিয়ে নিজের হাতের শিরা কেটে ফেলে। তৎক্ষণাৎ মুনের মা দেখে ফেলাই মুনকে কুস্টিয়া মেডিকেলে নিয়ে যাই। প্রচুর রক্তক্ষরন হওয়াই ডাক্তার ও-নেগেটিভ ব্লাড জোগাড় করতে বলে। কিন্তু ও-নেগেটিভ ব্লাড ওদের পরিবারের কারো নেই,আবার ব্লাড বাংকেও ও-নেগেটিভ ব্লাড নেই। এসব দেখে মুনের বাবা পরিস্থিতি বুঝতে পেরে পাগলের মত রাস্তায় যাকে পায় তার কাছেই ব্লাড ভিক্ষা চাইতে থাকে। এভাবেও অনেকসময় ধরে চাওয়ার পর তিনি হাসপাতালে ফিরে আসেন। কিন্তু এসে দেখে আবির তার মেয়েকে ব্লাড দিচ্ছে। এদৃশ্য দেখে মুনের বাবা বাকরুধ হয়ে যায়। ব্লাড দেয়া শেষ হলে আবির কারো সাথে কথা না বলে বাসাই চলে আসে।
"
এ ঘটনার দিন সাতেক পর হঠাৎ আবিরের ফোনে মুনের ফোন আসে। মুন আবিরকে ২০ মিনিটের ভিতরে রেনউইক এর বাধে আসতে বলে। ফোন রাখার পর আবির ৫মিনিট শুধু কান্নাই করে কারন অনেক দিন হলো মুনের সাথে কথা-দেখা হচ্ছিল না। পরক্ষনেই আয়নার দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে "আমার এতো আবেগ ক্যারে" বলেই মুখ ধুয়েই বাধে রওনা হয়। 
"
বাধে গিয়েই দেখে মুন একটা লাল পাড়ের কাল শাড়ি পরে তার অপেক্ষাই দাড়ান। কাছে আসতেই মুন কাঁদতে কাঁদতে আবিরের গালে এক চড় মারলো। আবির কিছু বুঝে উঠার আগেই মুন আবিরকে বললো, 
--"আজ আমার জন্মদিন ছিল। ভুলে যাওয়ার জন্যে চড়টা মেরেছি।আর তুমি বামন হয়ে চাঁদে হাত দিতে পারবা না তাইতো কিন্তু আমি চাঁদ হয়ে বামনে তো হাত দিতে পারি "
"
এই বলেই মুন আবিরের ডান হাতে হাত রাখলো এবং বাম হাত দিয়ে একদিকে কি যেন দেখালো, আবির সে দিকে তাকাতেই দেখে প্রায় ৩০ হাত দূরে মুনের বাবা দাঁড়ান। আবির তাকাতেই মুনের বাবা একহাত কানে এবং একহাত নাকে দিয়ে ইশারায় সরি বললো। আবির ও মুন সে দৃশ্য দেখে ফিকফিক করে হেসে দিল।
.
#চাঁদ_হয়ে_বামনে_হাত


Blogger
SK_SHOHAG

No comments:

Post a Comment